Thursday, 11 August 2016

তিত বেগুন ফুল

location:gazipur

তিত বেগুন

প্রচুর কাঁটাযুক্ত বেগুন জাতীয় গুল্ম। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র দেখা যায়। রাস্তা, রেল লাইনের পাশে, গ্রামীণ মেঠো পথের ধারে এই উদ্ভিদ প্রচুর পরিমানে দেখা যায়। এই গাছের ফল বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

Sunday, 7 August 2016

চিকা


চিকা (Shrew)  Insectivora বর্গের Sorcidae গোত্রের ইঁদুরসদৃশ স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা ছুঁচো বা গন্ধমুষিক নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে দু প্রজাতির চিকা আছে, ধূসর গন্ধমূষিক/Grey Musk Shrew ( Suncus murinus) এবং বামন-চিকা/Pygmy Shrew (Suncus etruscus)। উল্লিখিত প্রথম চিকাটি শহর, গ্রাম ও বনাঞ্চলসহ দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। দ্বিতীয়টি দুর্লভ, অবশ্য ইদানিং দেখাই যায় না। দু প্রজাতির চিকারই চোখ ছোট এবং কান গোলাকৃতি। ধূসর গন্ধমূষিকের শরীর ঘন লোমে ভরা এবং লোম ইঁদুরের লোমের মতো, এর তুন্ডটি প্রকট, ক্রমে সরু হয়ে নিচের ঠোঁট ছাড়িয়ে বেরিয়ে থাকে। এ চিকার দু জোড়া পা ও লেজ লোমে ঢাকা। ত্বকের রং গোলাপি আভাযুক্ত যা তুন্ড, কান, পা ও লেজে সুস্পষ্ট। মাথা থেকে লেজের গোড়া পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১৫ সেমি, লেজের দৈর্ঘ্য ৮ সেমি।
দেহের দুই পাশে অবস্থিত দুটি গ্রন্থিতে গন্ধ উৎপন্ন হয়। রাতে চিকার তীক্ষ্ণ ও কর্কশ চিঁ-চিঁ ডাক শোনা যায়। স্থলভাগের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে আকারে বামন চিকাই ক্ষুদ্রতম। মাথা থেকে লেজের গোড়া পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৪.৮ সেমি এবং লেজের দৈর্ঘ্য ৩ সেমি। ওজন মাত্র ২.৫ গ্রাম। চিকা মূলত পতঙ্গভুক, তবে সর্বভুকও হতে পারে।

চট্রগ্রাম চিড়িয়াখানা


location:Chittagong zoo

Wednesday, 3 August 2016

বকুল ফুল

বকুল (বৈজ্ঞানিক নাম:Mimusops elengi) হচ্ছে
মিনাসপ্স্ (Minasops) প্রজাতির একটি ফুল। এশিয়া ও
প্রশান্ত মহাসাগর তীরবর্তী এলাকার ভারত,
বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, বার্মা, ইন্দো-চীন,
থাইল্যান্ড, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এলাকা জুড়ে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। তবে, মালয়েশিয়া,
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, নিউ ক্যালিডোনিয়া (ফ্রান্স),
ভানুয়াটু, এবং উত্তর অস্ট্রেলিয়াতে এই গাছ চাষ করা হয়। [১]
বাংলায় বকুল ফুলের জন্যে পরিচিত এই গাছ। বকুলের অন্যান্য ব্যবহার বাংলায় তেমন নেই। এটি একটি অতি পরিচিত ফুল। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় এর গাছ পাওয়া যায়। বাগানে ছায়া পাওয়ার জন্য সাধারনত বকুল গাছ লাগানো হয়ে থাকে।
এটি মাঝারি আকারের গাছ এবং এর পাতা গুলি হয় ঢেউ খেলানো। ফুল গুলো খুব ছোট হয়। বড় জোড় ১ সেঃ মিঃ। ফুল গুলো দেখতে ছোট ছোট তারার মতো। বকুল ফুলের সুবাসে থাকে মিষ্টি গন্ধ। ফুল শুকিয়ে গেলেও এর সুবাস অনেক দিন পর্যন্ত থাকে।
বকুল ফুল, ফল, পাকা ফল, পাতা, গাছের ছাল, কাণ্ড, কাঠ সব কিছুই কাজে লাগে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে এর ব্যবহার রয়েছে।

Tuesday, 2 August 2016

ফয়েজ লেক

ফয়েজ লেক (ইংরেজি: Foy's Lake) চট্টগ্রামের
পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম হ্রদ। এটি ১৯২৪ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে খনন করা হয় এবং সেসময় পাহাড়তলী লেক হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ইংরেজ রেল প্রকৌশলী ফয়-এর(Foy) নামে নামকরণ করা হয়। এই লেকটি তৈরির উদ্দেশ্য ছিল রেল কোলনীতে বসবাসকারী লোকদের কাছে পানি পৌছানো।
বর্তমানে এটির মালিকানা বাংলাদেশ রেলওয়ের। বেশ বড় মাপের (৩৩৬ একর জমির উপর) এই লেকটি পাহাড়ের এক শীর্ষ থেকে আরেক শীর্ষের মধ্যবর্তী একটি সংকীর্ণ উপত্যকায় আড়াআড়ি ভাবে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে সৃষ্ট। বাঁধটি চট্টগ্রাম শহরের উত্তর দিকের পাহাড় শ্রেণীর থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহের দিক পরিবর্তনের মাধ্যমে এই লেকটিকে সৃষ্টি করেছে। ভূ-তাত্ত্বিকভাবে এইসব পাহাড় শ্রেণী দুপিটিলা স্তর সমষ্টির শিলা দ্বারা গঠিত। ফয়’স লেকের পাশেই আছে চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় বাটালি হিল।
পাহারতলী রেলস্টেশনের দক্ষিণ কোল ঘেঁষে আরেকটি কৃত্রিম হ্রদ রয়েছে। ফয়’স লেক তৈরির পূর্বে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১৯২০ সালে এটি খনন করে। দুটি লেকই আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দেশি বিদেশী পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। চট্টগ্রাম শহরের ব্যাপক এলাকায় বিশেষ করে নিকটবর্তী রেলওয়ে কলোনিতে পানি সরবরাহের জন্য এই জলাধার দুটি খনন হয়েছিলো।
বর্তমানে হ্রদটি কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কনকর্ড একটি বিনোদন পার্ক স্থাপন করেছে যেখানে দর্শনার্থীদের জন্য লেকে নৌকা ভ্রমন, রেস্তোরা, ট্র্যাকিং এবং কনসার্ট এর আয়োজন করা হয়ে থাকে। বর্তমানে এখানে বিরল প্রজাতির পাখি এবং ডিয়ার পার্কে হরিণ দেখার ব্যবস্থা আছে। ফয়’স লেকের পাশেই অবস্থিত চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানা। এছাড়াও দর্শনার্থীরা কটেজ ভাড়া করে থাকতে পারেন। ফয়’স লেকের আশেপাশের মনোরম পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে প্রতি বছর দেশি বিদেশি বহু পর্যটক ছুটে আসেন।

ঝিনুক

location: কক্সবাজার

রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ

কাপ্তাই লেককে ঘিরেই মূলত রাঙামাটি জেলার পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। এই লেকের উপর রয়েছে বিখ্যাত ঝুলন্ত ব্রীজ। লেকের দুই ধারই পাহাড়-টিলা দিয়ে ঘেরা। ট্রলার ভাড়া করে লেকে ভ্রমণ করা যায়। ট্রলারে করে যাওয়া যায় শুভলং জলপ্রাপাতে। লেকের পাড়ে রয়েছে নতুন চাকমা রাজবাড়ি ও বৌদ্ধ মন্দির। পুরাতন চাকমা রাজবাড়ি কাপ্তাই বাঁধ নির্মানের সময় লেকে তলিয়ে যায়। রাজবন বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ব

কক্সবাজার

কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্হিত একটি পর্যটন শহর। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের
কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত। কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত যা কক্সবাজার শহর থেকে
বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশান।