Friday, 23 December 2016

বিলাতি ধনিয়া ফুল


পোকার বাসা


ঘুঘু পাখির ছানা


জলপাই

 জলপাই ফল বেশ ছোট আকারের, লম্বায় মাত্র ১-২.৫ সে.মি. লম্বা হয়ে থাকে।
তবে জলপাই ফল সবাই খায়। বাংলাদেশে জলপাই ফল খুব সস্তা। জলপাই ফলের আঁচার বেশ জনপ্রিয় এদেশে। জলপাই ফলের দামের তুলনায় এর তেলের দাম আকাশচুম্বী।
জলপাই তেল বা Olive Oil এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে। গবেষকরা দেখিয়েছেন খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যাবহারের ফলে শরীরের ব্যাড ক্লোষ্টোরেল এবং গুড ক্লোষ্টোরেল নিয়ন্ত্রণ হয় । জলপাইয়ের তেলের আরেকটা গুণাবলি হল এটা পাকস্থলীর জন্য খুব ভালো। শরীরে এসিড কমায়, যকৃৎ (Liver) পরিষ্কার করে, যেটা প্রতিটি মানুষের ২/৩ দিনে একবার করে দরকার হয়। কোস্ট কাঠিন্য রোগীদের জন্য দিনে ১ চামচ (1 spoon) জলপাই তেল অনেক অনেক উপকারী।সাধারণত সন্তান হওয়ার পর মহিলাদের পেটে সাদা রঙের স্থায়ী দাগ পড়ে যায় । গর্ভধারণ করার পর থেকেই পেটে জলপাই তেল (Olive Oil) মাখলে কোন জন্মদাগ পড়ে না।

Wednesday, 21 December 2016

কমলা

কমলা এক প্রকারের লেবু জাতীয় রসালো ফল।কমলা একটি জনপ্রিয় ফল। এটি সরাসরি খাওয়া হয় এবং ফ্রুট সালাদে ব্যবহৃত হয়।
কমলাই একমাত্র মিষ্টি স্বাদের আদি সাইট্রাস ফল।
 কাচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে কমলা রং হয়।
ওজন কমানো, ত্বকের পুষ্টি এমন কি হৃদযন্ত্র ভালো রেখে শরীরে রক্ত চলাচল নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে কমলা।

Sunday, 18 December 2016

কচুরিপানা

কচুরিপানা মুক্তভাবে ভাসমান বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। পুরু, চকচকে এবং ডিম্বাকৃতির পাতাবিশিষ্ট কচুরিপানা পানির উপরিপৃষ্ঠের ওপর ১ মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর কান্ড থেকে দীর্ঘ, তন্তুময়, বহুধাবিভক্ত মূল বের হয়, যার রং বেগুনি-কালো। একটি পুষ্পবৃন্ত থেকে ৮-১৫ টি আকর্ষণীয় ৬ পাঁপড়ি বিশিষ্ট ফুলের থোকা তৈরি হয়।কচুরিপানা খুবই দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। এটি প্রচুর পরিমাণে বীজ তৈরি করে যা ৩০ বছর পরও অঙ্কুরোদগম ঘটাতে পারে। কচুরিপানা রাতারাতি বংশবৃদ্ধি করে এবং প্রায় দু' সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে যায়।

কালিজিরা ধান

কালিজিরা এক ধরনের উৎকৃষ্ট মানের ধান। কালো রংয়ের এই ধানের চাল বেশ সুস্বাদু। যা থেকে উৎপন্ন চালকে ছোট বাসমতি চালও বলা হয়। এটি রান্না করার পদ্ধতিও প্রায় বাসমতি চালের মতই। এটি চালের ভাত আঠালো নয়। কালিজিরা চাল পোলাও রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এই চালের ভাতে বেশ সুগন্ধ রয়েছে।

লাউ

লাউ শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। লাউ এক প্রকার লতানো উদ্ভিদ যা এর ফলের জন্যে চাষ করা হয়, যা কিনা কাচা অবস্থায় সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, আর পরিপক্ব অবস্থায় শুকিয়ে এটি বোতল, পাত্র বা নল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কচি লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে সাদা রঙের শাঁস। লাউকে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়।
লাউয়ে প্রচুর পানি থাকে, যা দেহের পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া জনিত পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
লাউ খেলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকে।
প্রস্রাবের সংক্রমণজনিত সমস্যা দূর হয়। কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
উচ্চ রক্তচাপবিশিষ্ট রোগীদের জন্য এটি আদর্শ সবজি।
কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে সহায়ক।
এই সবজি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা দূর করে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লাউয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর করে। দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে।
ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাউ যথেষ্ট উপকারী। ডায়েটিং কালেও লাউ ভালো ফল দেয়।
চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পেকে যাওয়ার হার কমায়।

শিম ফুল

চিত্রঃ কৃষকের ক্ষেতের পাড় ।

বেগুন ফুল

 বেগুনের ফুল সাদা হতে গোলাপী বর্ণের হয়। বেগুন ফুলে পাঁচটি পাপড়ি থাকে।

Sunday, 11 December 2016

পাম ফল

 পাম ফলের মাংসল ও বীজ হতে তেল পাওয়া যায়। মাংসল অংশ হতে যে তেল পাওয়া যায় তার নাম পাম তেল, আর বীজ (কার্নেল) হতে যে তেল পাওয়া যায় তার নাম পাম কার্নেল তেল।

মাকড়শা

মাকড়শা অমেরুদন্ডী শিকারী কীট বিশেষ। এটি একটি আট পা ওয়ালা অ্যারাকনিডা শ্রেণীর সন্ধিপদ। এদের শরীর মাথা ও ধড় দুটি অংশে বিভক্ত, আটটি সন্ধিযুক্ত পা আছে, ডানা নেই। এদের মাথা ও বুক একসাথে জুড়ে সেফালোথোরাক্স বা মস্তক-বক্ষ গঠন করে। মাকড়সার একটি বিশেষ গুণ হল, এরা জাল তৈরি করে এবং জালের মাধ্যমে অন্যান্য কীট-পতঙ্গ ইত্যাদি শিকার করে।

ব্যাঙের ছাতা

এক ধরণের ছত্রাক।

Friday, 9 December 2016

টোপ

মাছ ধরার জন্য এ গুলো ব্যাবহার করা হয়।



Tuesday, 6 December 2016

কাঠ বেলী


কচমচ ফুল


মোরগ ফুল

এশিয়ার নিরক্ষয় অঞ্চল এবং আফ্রিকা আদি নিবাস হলেও বাংলাদেশে মোরগ ফুল একটি জনপ্রিয় ফুল। এ ফুলের ইরেজি নাম- Amarantaceae, উদ্ভিদ তাত্বিক নাম- Celosia argentea। মোরগের মাথার ঝুটির আকৃতির কারনে এর নাম মোরগ ফুল। তবে অঞ্চল ভেদে কোথাও কোথাও এ ফুলকে মোরগ ঝুটি, লালমুর্গা নামেও ডাকা হয়।
মোরগ ফুল বা মোরগ ঝুটি, বাগানের একটা কমন ফুল. এই ফুলের কোনো গন্ধ নাই, কিন্তু উজ্জল রং যেকোনো পোকামাকড় থেকে শুরু করে মানুষকে পর্যন্ত আকৃষ্ট করে।
মোরগফুল বাংলার গ্রাম-গঞ্জের আঙিনায় দেখা মেলে হরহামেশাই। উঠোনে, ঘরের পাশে অবলীলাক্রমেই ফুটে থাকে। হঠাৎ দেখলে মনে হবে সত্যি কোন মোরগ বুঝি বসে আছে। ফুলের আঙ্গিক বিন্যাসটাই এমন। মোরগের মাথার ঝুঁটির আকৃতির কারণে এর নাম মোরগফুল।

গজারি গাছ

গাজীপুর ভাওয়াল বনের গজারি গাছ।

শিলা বৃষ্টি

২ ৪ ২০১৬ তারিখের ভয়াবহ শিলা বৃষ্টির  চিত্র।
স্থানঃ গাজীপুর

Friday, 2 December 2016

সিংহ

সিংহ ফেলিডি পরিবারের প্রাণী যা প্যানথেরা গণের চারটি বৃহৎ বিড়ালের একটি। সিংহের মূলত দুটি উপপ্রজাতি বর্তমানে টিকে আছে। একটি হল আফ্রিকান সিংহ অপরটি হল এশীয় সিংহ। আফ্রিকান সিংহ মোটামুটি আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে পাওয়া গেলেও অল্প সংখ্যক ভারতীয় সিংহ শুধুমাত্র ভারতের গির অভয়ারণ্যে পাওয়া যায়। সংখ্যাধিক্যের দরুন সিংহ বলতে তাই আফ্রিকান সিংহকেই বোঝায়।
সিংহের দলকে প্রাইড বলে। যেটির অর্থ গর্ব। একটি প্রাইডে দশ থেকে চল্লিশটি সিংহ থাকে।প্রত্যেক প্রাইডের নিজস্ব অঞ্চল আছে। সিংহ কখনো তাদের অঞ্চলে অন্য মাংসাশী প্রাণি ঢোকা পছন্দ করে না। তাদের একটি অঞ্চল প্রায় ২৬০ বর্গকিলোমিটার (১০০ বর্গমাইল)। পুরুষ সিংহরা খুব রাগী হয়। এরা এদের এলাকা রক্ষার্থে প্রয়োজনে সহিংস্র লড়াই করে।
২ থেকে ৩ বছর বয়সে সিংহী তরুণী হয়। শিশু সিংহ জন্ম নেয় ৩ ১/২ মাস পরে। শিশু সিংহ জন্মের পর অন্ধ থাকে; তারা ১ সপ্তাহ বয়সে চোখ খুলতে পারে এবং যতদিন ২ সপ্তাহ বয়স না হয় ততদিন ভালো করে দেখতে পারে না। সিংহদের নির্দিষ্ট বাসা নেই, যেখানে তারা চিরকাল থাকবে। সিংহদের নির্দিষ্ট পালানোর জায়গা থাকে। যেটি তারা গোপন রাখে। যদি অন্যদলের সিংহ দেখে ফেলে। তারা তাহলে সেই স্থান প্রস্থান করে।

বাঘ


বাঘ বড় বিড়াল জাতের অন্তর্ভুক্ত একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। সিংহ, চিতাবাঘ ও জাগুয়ারের সঙ্গে প্যানথেরা গণের চারটি বিশালাকার সদস্যের মধ্যে এটি একটি। এটি ফেলিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত সবচেয়ে বড় প্রাণী। বাঘ ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় পশু। পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক এলাকায় একে দেখা যায়। 'অ্যানিম্যাল প্ল্যানেট' চ্যানেলের সমীক্ষা অনুযায়ী বাঘ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাণী।
বাঘেরা পানিতে থাকতে খুব পছন্দ করে।এরা শুধু শরীর ঠান্ডা রাখতেই পানিতে নামে না বরং অনেক সময় পানিতে এরা শিকারও করে। বাঘ সাধারণত একা একা থাকে ও শিকার করে। তবে বাচ্চারা ২ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের সাথে থাকে।
বাঘ সহসা বাধ্য না হলে খাঁচার মতো আবদ্ধ জায়গায় ঢুকতে সাহস করে না। এমনকি মানুষখেকো হলেও না। তবে আক্রান্ত বাঘ খুব মারমুখী হয়ে থাকে।বিভিন্ন নিরামিষাশী, বুনো বা গৃহপালিত প্রাণী (চিত্রা হরিণ, সম্বর হরিণ, মহিষ, গৌড়, বুনো শূকর, বানর ইত্যাদি, সুযোগ পেলে গরু- ছাগল,কুকুর ইত্যাদি) বাঘের খাদ্য। তবে খিদে পেলে বাঘ চিতাবাঘ,কুমির, ভাল্লুক বা অজগরকেও ছাড়েনা। এমনকি হাতিও গণ্ডারের বাচ্চার উপরো বাঘ হামলা করে। কিছু সময়ে বাঘ নরখাদক হয়ে যায়। বাঘ ঘন ঝোপে লুকিয়ে আচমকা হামলা করে শিকার করে। মুলত জলাশয়ের কাছে বাঘ লুকিয়ে থাকে।
বাঘ রাতেই বেশি শিকার করে। বড় প্রাণি শিকারের সময় বাঘ শ্বাসনালী কামড়ে ধরে এবং সম্মুখপেশীর সাহায্যে শিকারকে আঁকড়ে ধরে মাটিতে আছড়ে ফেলে। শিকার দমবন্ধ হয়ে না মরা পর্যন্ত বাঘ গলা আঁকড়ে ধরেই থাকে।
বাঘেরা দৈনিক ৫-১৫ কেজি মাংস খায়, তবে সুযোগ পেলে বড় পুরুষ বাঘ ৩০ কেজি মাংসও খেতে পারে।
বাঘেরা ওৎ পেতে শিকার করে। এরা নিঃশব্দে শিকারের পিছু নেয়,আর অতর্কিত আক্রমণ করে। এদের গতিবেগ ৫০-৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা পর্যন্ত হয়, তবে এ গতিবেগ খুব অল্প সময়ের জন্য। এরা পানিতেও শিকার করতে পারে, এদের সাঁতারের গতিবেগ ৩২ কি.মি./ঘন্টা যা অলিম্পিক এর সাঁতারু দের থেকেও বেশি।
শিকার করার জন্য সৃষ্টিকর্তা এদের দিয়েছেন ভয়ানক সব অস্ত্র। এদের ক্যানাইন দাঁত ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়, যা বিড়াল পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে বড়। এদের কামড়ের জোর ১০৫০ পিএসআই পর্যন্ত হয়। এদের আছে গুটিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা যুক্ত ব্লেডের মত ধারালো বাঁকানো নখর। সামনের পায়ের নখর ৩ ইঞ্চিরও বেশি লম্বা হয়।
বাঘ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বিড়াল প্রজাতি। বাঘ বিড়াল প্রজাতির অন্য সকল প্রানী এমন কি সিংহ হতেও বড়।

বিলাতি ধনিয়া পাতা

বিলাতি ধনিয়া কে বনঢুলা নামে ঢাকাহয়।

 বিলাতি ধনিয়ার উৎপত্তি দক্ষিণ আমেরিকা হয়ে ধীরে ধীরে পাক-ভারত উপমহাদেশসহ গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে বনঢুলার বিস্তার হচ্ছে। ভিয়েতনাম ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে সালাদজাতীয় অর্থকরী ফসল হিসেবে রফতানি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। বনঢুলার বিভিন্ন প্রজাতি যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলেও ব্যাপকভাবে চাষ হয় আর্জেন্টিনা, তুরস্ক ও জর্ডানেও। এমনকি শীতপ্রধান দেশ জার্মানিতেও অন্য আরেক ধরনের প্রজাতির বনঢুলা বা বিলাতি ধনিয়ার চাষ হচ্ছে। 


বর্তমানে বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে বনঢুলার চাষাবাদ সম্প্রসারণ হচ্ছে।দেশের দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্যাঞ্চলের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল বিলাতি ধনিয়া বা বনঢুলা হলেও দেশের প্রায় সব জায়গায়ই এর চাষ করা যায়। সারা দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়ির আনাচে-কানাচে, অযত্নে-অবহেলায় বড় হতে দেখা যায় বনঢুলাকে। বনঢুলাকে আবার কেউ কেউ বাংলার ধনিয়া বলে অভিহিত করেন।

কলমি ফুল

 কলমির ফুল অনেকটা ট্রাম্পেট আকৃতির এবং ৩-৫ সেমি চওড়া হয়ে থাকে। ফুলের রঙ সাধারণত সাদা এবং গোড়ার দিক বেগুনি। ফুলে বীজ হয়, বীজ থেকেও গাছ লাগানো যায়।