Sunday, 22 January 2017

সবুজ টিয়া

সবুজ টিয়া টিয়া প্রজাতির অতিপরিচিত ও সুদর্শন পাখি। সবুজ টিয়া সহজেই পোষ মানে এবং মানুষের মতো করে কথা বলতে পারে। এরা সাধারণত বন, বৃক্ষবহুল এলাকা, প্রশস্ত পাতার বন, আর্দ্র পাতাঝরা বন, খোলা বন, পাহাড়ি বন, চা-বাগান, বসতবাড়ির বাগান, আবাদি জমি, পুরোনো বাড়িতে বসবাস ও বিচরণ করে।
খাদ্যতালিকায় আছে পত্রগুচ্ছ, ফুল, ফল, লতাপাতা, বীজ ও ফলের মিষ্টি রস। ধানখেতের পাকা ধানও সবুজ টিয়ারা খায়।
সবুজ টিয়া কলাপাতা-সবুজ রঙের সুদর্শন পাখি। দেহের দৈর্ঘ্য ৪২ সেন্টিমিটার, ওজন ১৩০ গ্রাম। সামান্য কিছু পালক ছাড়া পুরো দেহই সবুজ। ঠোঁট লাল, নিচের দিকে বড়শির মতো বাঁকানো। চোখ হলদে-সাদা। ছেলেপাখি ও মেয়েপাখির গলায় ভিন্ন রঙের দাগ আছে। ছেলেপাখির থুতনিতে কালো রেখা, গলা ও ঘাড়ের পেছনে গোলাপি পাটল বর্ণ। মেয়েপাখির ঘাড় পান্না সবুজে ঘেরা।
সবুজ টিয়া সচরাচর ছোট দলে থাকে, তবে জোড়ায়ও দেখা যায়। অনেক টিয়া একসঙ্গে মিলে রাত কাটায়। সচরাচর পুনঃ পুনঃ উচ্চ স্বরে ডাকে। মেয়েপাখি একাই ডিমে তা দেয়। ছেলেপাখি মাঝেমধ্যে মেয়েপাখিকে খাবার খাওয়ায়।

খেজুরের রস

এটি খেজুর গাছ থেকে সংগ্রহকৃত রস।  খেজুরের রস বেশ মিষ্টি। খেজুরের রস শীতকালে সংগ্রহ করা হয়। খেজুরের রস হতে তৈরি হয় গুড়। এটি শীতকালে তৈরি হয় এবং সারা বছর ই পাওয়া যায়। প্রচুর খনিজ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।
বাংলাদেশে রসই খেজুর গাছের আসল আকর্ষণ। আশ্বিন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহ (অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি) পর্যন্ত রস সংগ্রহ চলে। আবহাওয়া ঠান্ডা, আকাশ মেঘলা ও কুয়াশাময় থাকলে রস বেশী মেলে, স্বাদও বেশী থাকে। পৌষ-মাঘ মাসে (ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি) তাই সবচেয়ে বেশী রস পাওয়া যায়। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে রসের পরিমাণ ও মান কমতে থাকে। গাছের বয়স ৫ বছর হওয়ার সময় থেকেই রস সংগ্রহ শুরু করা যায়। গাছের বয়স, এলাকা বা মাটির প্রকারভেদ ছাড়াও একই মৌসুমের বিভিন্ন সময় ও গাছের যত্নের ওপর নির্ভর করে কেমন ও কতটা রস পাওয়া যাবে সেই ব্যাপারটি। পুরুষ গাছ স্ত্রী গাছের চেয়ে বেশী রস দেয়। এর রসও স্ত্রী গাছের তুলনায় বেশী মিষ্টি হয়।