Sunday, 14 May 2017

জেলে

এই ভাবেই জেলে মাছ ধরছে । 

হাজং মাতা রশিমনি স্মৃতিসৌধ

নেত্রকোনা জেলায় রাসিমনি হাজং-এর স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ ।

লেবু ফুল

 বসন্তের শুরুতে লেবু গাছে যখন সাদা সাদা অজস্র ফুল ফোটে তখন অনেক সুন্দর দেখায়. ফুল আর কচি পাতা দুইটাই এক সাথে আসে এই গাছে. মিষ্টি গন্ধে ভরা ৪/৫ পাপড়ি বিশিষ্ট এই ফুল থোকায় থোকায় হয়।

Wednesday, 5 April 2017

চীনামাটির পাহাড়ের লেক

এখানে চীনামাটির পাহাড়, যার বুক চিরে জেগে উঠেছে এই নীলচে-সবুজ পানির হ্রদ। সাদা মাটির মাঝে রঙটাকে যেন আরও বেশি গাঢ় করে দিয়েছে।

চীনা মাটির পাহাড়

দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের আড়াপাড়া ও মাইজপাড়া মৌজায় বিজয়পুরের সাদা মাটি অবস্থিত। বাংলাদেশের মধ্যে প্রকৃতির সম্পদ হিসেবে সাদা মাটির অন্যতম বৃহৎখনিজ অঞ্চল এটি। ছোট বড় টিলা-পাহাড় ও সমতল ভূমি জুড়ে প্রায় ১৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০০ মিটার প্রস্থ এই খনিজ অঞ্চল। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ১৯৫৭ সালে এই অঞ্চলে সাদামাটির পরিমাণ ধরা হয় ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন, যা বাংলাদেশের ৩ শত বৎসরের চাহিদা পুরণ করতে পারে।

সোমেশ্বরী নদী

সোমেশ্বরী নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি ভারতের মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পাহাড় জেলা এবং বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলায় প্রাবাহিত একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৫০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১১৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক সোমেশ্বরী নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৮৫।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়ের বিঞ্চুরীছড়া, বাঙাছড়া প্রভৃতি ঝর্ণাধারা ও পশ্চিম দিক থেকে রমফা নদীর স্রোতধারা একত্রিত হয়ে সোমেশ্বরী নদীর সৃষ্টি। অবশ্য এক সময় সমগ্র নদীটি সিমসাং নামে পরিচিত ছিল। ৬৮৬ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে সোমেশ্বর পাঠক নামে এক সিদ্ধপুরুষ অত্রাঞ্চল দখল করে নেয়ার পর থেকে নদীটি সোমেশ্বরী নামে পরিচিতি পায়। মেঘালয় রাজ্যের বাঘমারা বাজার (পূর্ব নাম বঙ বাজার) হয়ে বাংলাদেশের রাণীখং পাহাড়ের কাছ দিয়ে সোমেশ্বরী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

খরগোশ

খরগোশদের লেজ খাটো, কান লম্বা এবং পিছনের পা লম্বাটে। এরা সামাজিক প্রাণী।

কামরাঙ্গা

 কামরাঙ্গা একটি চিরসবুজ ছোট মাঝারি আকৃতির গাছের টকমিষ্টি ফল। গাছ ১৫-২৫ ফুট লম্বা হয়। ঘন ডাল পালা আচ্ছাদিত, পাতা যৌগিক, ১-৩ ইঞ্চি লম্বা। বাকল মসৃন কালো রংএর। ফল ৩-৬ ইঞ্চি ব্যাসের এবং ভাজযুক্ত। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ। কামরাঙ্গা টক স্বাদযুক্ত বা টকমিষ্টি হতে পারে। কোন কোন গাছে একাধিকবার বা সারাবছরই ফল পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন এ ও সি এর ভাল উৎস। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারিতে ফল পাওয়া যায়।
পুরো ফলটাই খাওয়া যায়, পাতলা ত্বকসহ। ফল কচকচে ও রসালো। ফলে আঁশ নেই এবং এর প্রকৃতি অনেকটা আঙুরের মত। কামরাঙ্গা পাকার পর পরই খেতে সবচেয়ে ভাল; যখন হলদেটে রঙ ধারণ করে। এর বাদামী কিনারাগুলো কিছুটা শক্ত এবং কষ ভাব যুক্ত। ফল পাকার ঠিক আগেই পাড়া হয় এবং ঘরে রাখলে হলুদ রঙ ধরে। যদিও এতে মিষ্টতা বাড়েনা। বেশি পেকে গেলে এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
কামরাঙ্গার ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।

শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম দূর্গাপুর

 শ্রী শ্রী কুল্লাগড়া রামকৃষ্ণ আশ্রম, রাণী খং, দূর্গাপুর, নেত্রকোনা।

ময়মনসিংহ বাণিজ্য মেলা


ময়মনসিংহ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পার্ক

 ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ময়মনসিংহ শহরবাসীর অন্যতম বিনোদনের জায়গা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্ক। সকাল থেকে রাত অবধি এই পার্কে থাকে সব বয়সী মানুষের আনাগোনা। ব্রহ্মপুত্র নদের উপর সোনালী রোদ। বাতাসে মহুয়ার ঝিম। নদের মাঝে পালতোলা নৌকা। স্বচ্ছ পানি।
 সবার জন্য উন্মুক্ত। ব্রম্বপুত্র নদের তীর ঘেষা তাই, নদের শীতল বাতাস মুগ্ধ করবেই।

Sunday, 2 April 2017

ডিসি লেক টাঙ্গাইল

একটু অবসরে এখানে প্রতিদিন অসংখ্য নারী-পুরুষ, শিশুরা ভীর জমায়। যান্ত্রিক কোলাহল মুক্ত দৃষ্টিনন্দন সবুজে ঘেরা শহরের প্রাণকেন্দ্র ও  যাতায়াত  সুবিধা হওয়াতে সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে  এই লেক।

Wednesday, 22 March 2017

বেল

বেল একটি পুষ্টিকর আর উপকারী ফল। কাচা পাকা দুটোই সমান উপকারী। কাচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশায় রোগে ধন্বন্তরী। পাকা বেলের শরবত সুস্বাদু। বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়ামের মত মূল্যবান পুষ্টি উপাদান। বেলকে বলা হয় শ্রীফল কারণ হিন্দুদের পুজা-অর্চনায় বেলের পাতা ও ফল ব্যবহার করা হয়। হিন্দুরা বেল কাঠও পবিত্র জ্ঞান করে বিধায় কখনো বেল কাঠ পুড়িয়ে রান্না করে না।
 বেলের জন্ম ভারতবর্ষে। বেল গাছ বড় ধরনের বৃক্ষ যার উচ্চতা প্রায় ১০-১৬ মিটার। শীতকালে সব পাতা ঝরে যায়, আবার বসন্তে আসে নতুন পাতা আসে। পাতা ত্রিপত্র যুক্ত, সবুজ, ডিম্বাকার ; পত্রফলকের অগ্রভাগ সূঁচাল। ফুল হালকা সবুজ থেকে সাদা রঙের। বোঁটা ছোট, ৪-৫টি পাঁপড়ি থাকে, পুংকেশর অসংখ্য, গর্ভাশয় বিস্তৃত ও কেন্দ্রস্থল খোলা। ফুলে মিষ্টি গন্ধ আছে। ফল বড়, গোলাকার, শক্ত খোসাবিশিষ্ট। ফলের ভিতরে শাঁস ৮-১৫টি কোয়া বা খন্ডে বিভক্ত থাকে,। প্রতিটি ভাগে বা খন্ডে চটচটে আঠার সাথে অনেক বীজ লেগে থাকে। কাচা ফলের রঙ সবুজ, পাকলে হলদে হয়ে যায়। ভিতরের শাঁসের রঙ হয়ে যায় কমলা। বা হলুদ। পাকা বেলে থেকে সুগন্ধ বের হয়। পাকা বেল গাছ থেকে ঝরে পড়ে। গাছ যখন ছোট থাকে তখন তাতে অনেক শক্ত ও তীক্ষ্ণ কাঁটা থাকে। গাছ বড় হলে কাঁটা কমে যায।
বেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও আমাশয়ে উপকার করে। আধাপাকা সিদ্ধ ফল আমাশয়ে অধিক কার্যকরী। বেলের শরবত হজমশক্তি বাড়ায় এবং তা বলবর্ধক। বেলের পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে পান করলে চোখের ছানি ও জ্বালা উপশম হয়। পাতার রস, মধু ও গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে জন্ডিস রোগ নিরাময় হয়।পেট খারাপ, আমাশয়, শিশুর স্মরণ শক্তি বারানোর জন্য বেল উপকারী। বেলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। এই ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বেল নিয়মিত খেলে কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।

Tuesday, 7 March 2017

মহেরা জমিদার বাড়ি

জমিদার বাড়ীটি পুলিশ ট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় (১৯৭২)। এবং পুলিশ ট্রেনিং স্কুলকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে উন্নীত করা হয় (১৯৯০)।
জমিদার বাড়ির সামনেই রয়েছে ‘বিশাখা সাগর’ নামে বিশাল এক দীঘি। বাড়িতে প্রবেশের জন্য রয়েছে ২টি সুরম্য গেট। ভবনের পিছনে রয়েছে পাসরা এবং রানী পুকুর। শুভাবর্ধনে রয়েছে সুন্দর ফুলের বাগান। বিশাখা সাগর সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বে বিশাল আম্র কানন রয়েছে।

Friday, 3 February 2017

টমেটো

উদ্ভিদ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে টমেটো একটি ফল হলেও, সবজি হিসেবেই সারা বিশ্বে টমেটো পরিচিত। সবজি এবং সালাদ হিসেবে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ টমেটোর বেশ চাহিদা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষীদের জন্য এটি একটি বিশেষ অর্থকরী সবজি। সবজি হিসাবে এর ব্যবহার ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও এর ব্যবহার সুবিদিত। দেশের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে টমেটো রপ্তানিরও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। রান্নার উপকরণ হিসেবে এবং খাবারের সাথে টমেটো সসও বেশ প্রচলিত। আকর্ষণীয়তা, ভাল স্বাদ, উচ্চ পুষ্টিমান এবং বহুবিধ উপায়ে ব্যবহারযোগ্যতার কারণে সর্বত্রই এটি জনপ্রিয়। এ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি রয়েছে। টমেটোতে লাইকোপেন নামে বিশেষ উপাদান রয়েছে, যা ফুসফুস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, কোলন, স্তন, মূত্রাশয়, প্রোস্টেট ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। টমেটো বাংলাদেশ বিলাতী বেগুন নামে পরিচিত। বাংলাদেশে টমেটো সবজি হিসাবে বহুল প্রচলিত। সবজি হলেও টমোটোর মধ্যে ফলের সমুদয় গুণ বিদ্যমান এবং ফলের ন্যায় এটি রান্না না করেও খাওয়া যায়। টমেটো আমাদের দেশের একটি প্রধান শীতকালীন সবজি, তবে বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালেও টমেটো সাফল্যের সাথে চাষ করা যায়।

টমেটো ফুল


ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৭

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে  হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। এটি মেলার ২২তম আসর।

Sunday, 22 January 2017

সবুজ টিয়া

সবুজ টিয়া টিয়া প্রজাতির অতিপরিচিত ও সুদর্শন পাখি। সবুজ টিয়া সহজেই পোষ মানে এবং মানুষের মতো করে কথা বলতে পারে। এরা সাধারণত বন, বৃক্ষবহুল এলাকা, প্রশস্ত পাতার বন, আর্দ্র পাতাঝরা বন, খোলা বন, পাহাড়ি বন, চা-বাগান, বসতবাড়ির বাগান, আবাদি জমি, পুরোনো বাড়িতে বসবাস ও বিচরণ করে।
খাদ্যতালিকায় আছে পত্রগুচ্ছ, ফুল, ফল, লতাপাতা, বীজ ও ফলের মিষ্টি রস। ধানখেতের পাকা ধানও সবুজ টিয়ারা খায়।
সবুজ টিয়া কলাপাতা-সবুজ রঙের সুদর্শন পাখি। দেহের দৈর্ঘ্য ৪২ সেন্টিমিটার, ওজন ১৩০ গ্রাম। সামান্য কিছু পালক ছাড়া পুরো দেহই সবুজ। ঠোঁট লাল, নিচের দিকে বড়শির মতো বাঁকানো। চোখ হলদে-সাদা। ছেলেপাখি ও মেয়েপাখির গলায় ভিন্ন রঙের দাগ আছে। ছেলেপাখির থুতনিতে কালো রেখা, গলা ও ঘাড়ের পেছনে গোলাপি পাটল বর্ণ। মেয়েপাখির ঘাড় পান্না সবুজে ঘেরা।
সবুজ টিয়া সচরাচর ছোট দলে থাকে, তবে জোড়ায়ও দেখা যায়। অনেক টিয়া একসঙ্গে মিলে রাত কাটায়। সচরাচর পুনঃ পুনঃ উচ্চ স্বরে ডাকে। মেয়েপাখি একাই ডিমে তা দেয়। ছেলেপাখি মাঝেমধ্যে মেয়েপাখিকে খাবার খাওয়ায়।

খেজুরের রস

এটি খেজুর গাছ থেকে সংগ্রহকৃত রস।  খেজুরের রস বেশ মিষ্টি। খেজুরের রস শীতকালে সংগ্রহ করা হয়। খেজুরের রস হতে তৈরি হয় গুড়। এটি শীতকালে তৈরি হয় এবং সারা বছর ই পাওয়া যায়। প্রচুর খনিজ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।
বাংলাদেশে রসই খেজুর গাছের আসল আকর্ষণ। আশ্বিন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহ (অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি) পর্যন্ত রস সংগ্রহ চলে। আবহাওয়া ঠান্ডা, আকাশ মেঘলা ও কুয়াশাময় থাকলে রস বেশী মেলে, স্বাদও বেশী থাকে। পৌষ-মাঘ মাসে (ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি) তাই সবচেয়ে বেশী রস পাওয়া যায়। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে রসের পরিমাণ ও মান কমতে থাকে। গাছের বয়স ৫ বছর হওয়ার সময় থেকেই রস সংগ্রহ শুরু করা যায়। গাছের বয়স, এলাকা বা মাটির প্রকারভেদ ছাড়াও একই মৌসুমের বিভিন্ন সময় ও গাছের যত্নের ওপর নির্ভর করে কেমন ও কতটা রস পাওয়া যাবে সেই ব্যাপারটি। পুরুষ গাছ স্ত্রী গাছের চেয়ে বেশী রস দেয়। এর রসও স্ত্রী গাছের তুলনায় বেশী মিষ্টি হয়।