Friday, 23 December 2016

বিলাতি ধনিয়া ফুল


পোকার বাসা


ঘুঘু পাখির ছানা


জলপাই

 জলপাই ফল বেশ ছোট আকারের, লম্বায় মাত্র ১-২.৫ সে.মি. লম্বা হয়ে থাকে।
তবে জলপাই ফল সবাই খায়। বাংলাদেশে জলপাই ফল খুব সস্তা। জলপাই ফলের আঁচার বেশ জনপ্রিয় এদেশে। জলপাই ফলের দামের তুলনায় এর তেলের দাম আকাশচুম্বী।
জলপাই তেল বা Olive Oil এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে। গবেষকরা দেখিয়েছেন খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যাবহারের ফলে শরীরের ব্যাড ক্লোষ্টোরেল এবং গুড ক্লোষ্টোরেল নিয়ন্ত্রণ হয় । জলপাইয়ের তেলের আরেকটা গুণাবলি হল এটা পাকস্থলীর জন্য খুব ভালো। শরীরে এসিড কমায়, যকৃৎ (Liver) পরিষ্কার করে, যেটা প্রতিটি মানুষের ২/৩ দিনে একবার করে দরকার হয়। কোস্ট কাঠিন্য রোগীদের জন্য দিনে ১ চামচ (1 spoon) জলপাই তেল অনেক অনেক উপকারী।সাধারণত সন্তান হওয়ার পর মহিলাদের পেটে সাদা রঙের স্থায়ী দাগ পড়ে যায় । গর্ভধারণ করার পর থেকেই পেটে জলপাই তেল (Olive Oil) মাখলে কোন জন্মদাগ পড়ে না।

Wednesday, 21 December 2016

কমলা

কমলা এক প্রকারের লেবু জাতীয় রসালো ফল।কমলা একটি জনপ্রিয় ফল। এটি সরাসরি খাওয়া হয় এবং ফ্রুট সালাদে ব্যবহৃত হয়।
কমলাই একমাত্র মিষ্টি স্বাদের আদি সাইট্রাস ফল।
 কাচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে কমলা রং হয়।
ওজন কমানো, ত্বকের পুষ্টি এমন কি হৃদযন্ত্র ভালো রেখে শরীরে রক্ত চলাচল নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে কমলা।

Sunday, 18 December 2016

কচুরিপানা

কচুরিপানা মুক্তভাবে ভাসমান বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। পুরু, চকচকে এবং ডিম্বাকৃতির পাতাবিশিষ্ট কচুরিপানা পানির উপরিপৃষ্ঠের ওপর ১ মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর কান্ড থেকে দীর্ঘ, তন্তুময়, বহুধাবিভক্ত মূল বের হয়, যার রং বেগুনি-কালো। একটি পুষ্পবৃন্ত থেকে ৮-১৫ টি আকর্ষণীয় ৬ পাঁপড়ি বিশিষ্ট ফুলের থোকা তৈরি হয়।কচুরিপানা খুবই দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। এটি প্রচুর পরিমাণে বীজ তৈরি করে যা ৩০ বছর পরও অঙ্কুরোদগম ঘটাতে পারে। কচুরিপানা রাতারাতি বংশবৃদ্ধি করে এবং প্রায় দু' সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে যায়।

কালিজিরা ধান

কালিজিরা এক ধরনের উৎকৃষ্ট মানের ধান। কালো রংয়ের এই ধানের চাল বেশ সুস্বাদু। যা থেকে উৎপন্ন চালকে ছোট বাসমতি চালও বলা হয়। এটি রান্না করার পদ্ধতিও প্রায় বাসমতি চালের মতই। এটি চালের ভাত আঠালো নয়। কালিজিরা চাল পোলাও রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এই চালের ভাতে বেশ সুগন্ধ রয়েছে।

লাউ

লাউ শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। লাউ এক প্রকার লতানো উদ্ভিদ যা এর ফলের জন্যে চাষ করা হয়, যা কিনা কাচা অবস্থায় সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, আর পরিপক্ব অবস্থায় শুকিয়ে এটি বোতল, পাত্র বা নল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কচি লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে সাদা রঙের শাঁস। লাউকে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়।
লাউয়ে প্রচুর পানি থাকে, যা দেহের পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া জনিত পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
লাউ খেলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকে।
প্রস্রাবের সংক্রমণজনিত সমস্যা দূর হয়। কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
উচ্চ রক্তচাপবিশিষ্ট রোগীদের জন্য এটি আদর্শ সবজি।
কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে সহায়ক।
এই সবজি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা দূর করে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লাউয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর করে। দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে।
ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাউ যথেষ্ট উপকারী। ডায়েটিং কালেও লাউ ভালো ফল দেয়।
চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পেকে যাওয়ার হার কমায়।

শিম ফুল

চিত্রঃ কৃষকের ক্ষেতের পাড় ।

বেগুন ফুল

 বেগুনের ফুল সাদা হতে গোলাপী বর্ণের হয়। বেগুন ফুলে পাঁচটি পাপড়ি থাকে।

Sunday, 11 December 2016

পাম ফল

 পাম ফলের মাংসল ও বীজ হতে তেল পাওয়া যায়। মাংসল অংশ হতে যে তেল পাওয়া যায় তার নাম পাম তেল, আর বীজ (কার্নেল) হতে যে তেল পাওয়া যায় তার নাম পাম কার্নেল তেল।

মাকড়শা

মাকড়শা অমেরুদন্ডী শিকারী কীট বিশেষ। এটি একটি আট পা ওয়ালা অ্যারাকনিডা শ্রেণীর সন্ধিপদ। এদের শরীর মাথা ও ধড় দুটি অংশে বিভক্ত, আটটি সন্ধিযুক্ত পা আছে, ডানা নেই। এদের মাথা ও বুক একসাথে জুড়ে সেফালোথোরাক্স বা মস্তক-বক্ষ গঠন করে। মাকড়সার একটি বিশেষ গুণ হল, এরা জাল তৈরি করে এবং জালের মাধ্যমে অন্যান্য কীট-পতঙ্গ ইত্যাদি শিকার করে।

ব্যাঙের ছাতা

এক ধরণের ছত্রাক।

Friday, 9 December 2016

টোপ

মাছ ধরার জন্য এ গুলো ব্যাবহার করা হয়।



Tuesday, 6 December 2016

কাঠ বেলী


কচমচ ফুল


মোরগ ফুল

এশিয়ার নিরক্ষয় অঞ্চল এবং আফ্রিকা আদি নিবাস হলেও বাংলাদেশে মোরগ ফুল একটি জনপ্রিয় ফুল। এ ফুলের ইরেজি নাম- Amarantaceae, উদ্ভিদ তাত্বিক নাম- Celosia argentea। মোরগের মাথার ঝুটির আকৃতির কারনে এর নাম মোরগ ফুল। তবে অঞ্চল ভেদে কোথাও কোথাও এ ফুলকে মোরগ ঝুটি, লালমুর্গা নামেও ডাকা হয়।
মোরগ ফুল বা মোরগ ঝুটি, বাগানের একটা কমন ফুল. এই ফুলের কোনো গন্ধ নাই, কিন্তু উজ্জল রং যেকোনো পোকামাকড় থেকে শুরু করে মানুষকে পর্যন্ত আকৃষ্ট করে।
মোরগফুল বাংলার গ্রাম-গঞ্জের আঙিনায় দেখা মেলে হরহামেশাই। উঠোনে, ঘরের পাশে অবলীলাক্রমেই ফুটে থাকে। হঠাৎ দেখলে মনে হবে সত্যি কোন মোরগ বুঝি বসে আছে। ফুলের আঙ্গিক বিন্যাসটাই এমন। মোরগের মাথার ঝুঁটির আকৃতির কারণে এর নাম মোরগফুল।

গজারি গাছ

গাজীপুর ভাওয়াল বনের গজারি গাছ।

শিলা বৃষ্টি

২ ৪ ২০১৬ তারিখের ভয়াবহ শিলা বৃষ্টির  চিত্র।
স্থানঃ গাজীপুর

Friday, 2 December 2016

সিংহ

সিংহ ফেলিডি পরিবারের প্রাণী যা প্যানথেরা গণের চারটি বৃহৎ বিড়ালের একটি। সিংহের মূলত দুটি উপপ্রজাতি বর্তমানে টিকে আছে। একটি হল আফ্রিকান সিংহ অপরটি হল এশীয় সিংহ। আফ্রিকান সিংহ মোটামুটি আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে পাওয়া গেলেও অল্প সংখ্যক ভারতীয় সিংহ শুধুমাত্র ভারতের গির অভয়ারণ্যে পাওয়া যায়। সংখ্যাধিক্যের দরুন সিংহ বলতে তাই আফ্রিকান সিংহকেই বোঝায়।
সিংহের দলকে প্রাইড বলে। যেটির অর্থ গর্ব। একটি প্রাইডে দশ থেকে চল্লিশটি সিংহ থাকে।প্রত্যেক প্রাইডের নিজস্ব অঞ্চল আছে। সিংহ কখনো তাদের অঞ্চলে অন্য মাংসাশী প্রাণি ঢোকা পছন্দ করে না। তাদের একটি অঞ্চল প্রায় ২৬০ বর্গকিলোমিটার (১০০ বর্গমাইল)। পুরুষ সিংহরা খুব রাগী হয়। এরা এদের এলাকা রক্ষার্থে প্রয়োজনে সহিংস্র লড়াই করে।
২ থেকে ৩ বছর বয়সে সিংহী তরুণী হয়। শিশু সিংহ জন্ম নেয় ৩ ১/২ মাস পরে। শিশু সিংহ জন্মের পর অন্ধ থাকে; তারা ১ সপ্তাহ বয়সে চোখ খুলতে পারে এবং যতদিন ২ সপ্তাহ বয়স না হয় ততদিন ভালো করে দেখতে পারে না। সিংহদের নির্দিষ্ট বাসা নেই, যেখানে তারা চিরকাল থাকবে। সিংহদের নির্দিষ্ট পালানোর জায়গা থাকে। যেটি তারা গোপন রাখে। যদি অন্যদলের সিংহ দেখে ফেলে। তারা তাহলে সেই স্থান প্রস্থান করে।

বাঘ


বাঘ বড় বিড়াল জাতের অন্তর্ভুক্ত একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। সিংহ, চিতাবাঘ ও জাগুয়ারের সঙ্গে প্যানথেরা গণের চারটি বিশালাকার সদস্যের মধ্যে এটি একটি। এটি ফেলিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত সবচেয়ে বড় প্রাণী। বাঘ ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় পশু। পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক এলাকায় একে দেখা যায়। 'অ্যানিম্যাল প্ল্যানেট' চ্যানেলের সমীক্ষা অনুযায়ী বাঘ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাণী।
বাঘেরা পানিতে থাকতে খুব পছন্দ করে।এরা শুধু শরীর ঠান্ডা রাখতেই পানিতে নামে না বরং অনেক সময় পানিতে এরা শিকারও করে। বাঘ সাধারণত একা একা থাকে ও শিকার করে। তবে বাচ্চারা ২ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের সাথে থাকে।
বাঘ সহসা বাধ্য না হলে খাঁচার মতো আবদ্ধ জায়গায় ঢুকতে সাহস করে না। এমনকি মানুষখেকো হলেও না। তবে আক্রান্ত বাঘ খুব মারমুখী হয়ে থাকে।বিভিন্ন নিরামিষাশী, বুনো বা গৃহপালিত প্রাণী (চিত্রা হরিণ, সম্বর হরিণ, মহিষ, গৌড়, বুনো শূকর, বানর ইত্যাদি, সুযোগ পেলে গরু- ছাগল,কুকুর ইত্যাদি) বাঘের খাদ্য। তবে খিদে পেলে বাঘ চিতাবাঘ,কুমির, ভাল্লুক বা অজগরকেও ছাড়েনা। এমনকি হাতিও গণ্ডারের বাচ্চার উপরো বাঘ হামলা করে। কিছু সময়ে বাঘ নরখাদক হয়ে যায়। বাঘ ঘন ঝোপে লুকিয়ে আচমকা হামলা করে শিকার করে। মুলত জলাশয়ের কাছে বাঘ লুকিয়ে থাকে।
বাঘ রাতেই বেশি শিকার করে। বড় প্রাণি শিকারের সময় বাঘ শ্বাসনালী কামড়ে ধরে এবং সম্মুখপেশীর সাহায্যে শিকারকে আঁকড়ে ধরে মাটিতে আছড়ে ফেলে। শিকার দমবন্ধ হয়ে না মরা পর্যন্ত বাঘ গলা আঁকড়ে ধরেই থাকে।
বাঘেরা দৈনিক ৫-১৫ কেজি মাংস খায়, তবে সুযোগ পেলে বড় পুরুষ বাঘ ৩০ কেজি মাংসও খেতে পারে।
বাঘেরা ওৎ পেতে শিকার করে। এরা নিঃশব্দে শিকারের পিছু নেয়,আর অতর্কিত আক্রমণ করে। এদের গতিবেগ ৫০-৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা পর্যন্ত হয়, তবে এ গতিবেগ খুব অল্প সময়ের জন্য। এরা পানিতেও শিকার করতে পারে, এদের সাঁতারের গতিবেগ ৩২ কি.মি./ঘন্টা যা অলিম্পিক এর সাঁতারু দের থেকেও বেশি।
শিকার করার জন্য সৃষ্টিকর্তা এদের দিয়েছেন ভয়ানক সব অস্ত্র। এদের ক্যানাইন দাঁত ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়, যা বিড়াল পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে বড়। এদের কামড়ের জোর ১০৫০ পিএসআই পর্যন্ত হয়। এদের আছে গুটিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা যুক্ত ব্লেডের মত ধারালো বাঁকানো নখর। সামনের পায়ের নখর ৩ ইঞ্চিরও বেশি লম্বা হয়।
বাঘ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বিড়াল প্রজাতি। বাঘ বিড়াল প্রজাতির অন্য সকল প্রানী এমন কি সিংহ হতেও বড়।

বিলাতি ধনিয়া পাতা

বিলাতি ধনিয়া কে বনঢুলা নামে ঢাকাহয়।

 বিলাতি ধনিয়ার উৎপত্তি দক্ষিণ আমেরিকা হয়ে ধীরে ধীরে পাক-ভারত উপমহাদেশসহ গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে বনঢুলার বিস্তার হচ্ছে। ভিয়েতনাম ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে সালাদজাতীয় অর্থকরী ফসল হিসেবে রফতানি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। বনঢুলার বিভিন্ন প্রজাতি যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলেও ব্যাপকভাবে চাষ হয় আর্জেন্টিনা, তুরস্ক ও জর্ডানেও। এমনকি শীতপ্রধান দেশ জার্মানিতেও অন্য আরেক ধরনের প্রজাতির বনঢুলা বা বিলাতি ধনিয়ার চাষ হচ্ছে। 


বর্তমানে বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে বনঢুলার চাষাবাদ সম্প্রসারণ হচ্ছে।দেশের দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্যাঞ্চলের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল বিলাতি ধনিয়া বা বনঢুলা হলেও দেশের প্রায় সব জায়গায়ই এর চাষ করা যায়। সারা দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়ির আনাচে-কানাচে, অযত্নে-অবহেলায় বড় হতে দেখা যায় বনঢুলাকে। বনঢুলাকে আবার কেউ কেউ বাংলার ধনিয়া বলে অভিহিত করেন।

কলমি ফুল

 কলমির ফুল অনেকটা ট্রাম্পেট আকৃতির এবং ৩-৫ সেমি চওড়া হয়ে থাকে। ফুলের রঙ সাধারণত সাদা এবং গোড়ার দিক বেগুনি। ফুলে বীজ হয়, বীজ থেকেও গাছ লাগানো যায়।

Tuesday, 29 November 2016

প্রজাপতি

প্রজাপতি লেপিডোপ্টেরা বর্গের অন্তর্গত এক ধরণের কীট। এদের শরীর উজ্জ্বল রঙের এবং এরা দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। প্রজাপতির বেশিরভাগ প্রজাতিই দিবাচর বলে এরা সহজেই নজর কাড়ে। এদের মাথায় প্রায় গোলাকার পুঞ্জাক্ষী রয়েছে। প্রজাপতির ১০ খন্ডে গঠিত দেহ আকৃতিতে অনেকটা বেলনের মত, শেষের ২-৩টি খন্ড যৌনাঙ্গে পরিণত হয়েছে।

জবা ফুল

জবা হল মালভেসি গোত্রের অন্তর্গত একটি চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম, যার উৎপত্তি পূর্ব এশিয়াতে। এটি চীনা গোলাপ নামেও পরিচিত।
জবা একটি চিরসবুজ গুল্ম যার উচ্চতা ২.৫-৫ মি(৮-১৬ ফিট) ও প্রস্থ ১.৫-৩ মি(৫-১০ ফিট)। এর পাতাগুলি চকচকে ও ফুলগুলি উজ্জ্বল লাল বর্ণের ও ৫টি পাপড়ি যুক্ত। ফুলগুলির ব্যাস ১০ সেমি(৪ ইঞ্চি) এবং গ্রীষ্মকাল ও শরতকালে ফোটে।
বাগানের গাছ হিসেবে জবাকে গ্রীষ্মমণ্ডল এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডল অঞ্চলে সর্বত্র ব্যবহার করা হয়। যেহেতু জবা ১০°সেলসিয়াসের নীচের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না, তাই নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে জবা গাছকে গ্রীনহাউসে রাখা হয়। জবা গাছের বিভিন্ন রকমের সংকর প্রজাতি আছে, যাদের ফুলের রঙ সাদা, হলুদ,কমলা, ইত্যাদি হতে পারে।
চোখ ওঠা রোগ দূর করতে এর পাতার প্রলেপ দিলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
সর্দি ও কাশিতে জবা ফুল বেটে রস করে পানিতে মিসিয়ে খেলে রুগী সুস্থ হয়ে যাবে।
চুলের বৃদ্ধির জন্য পাতার রস তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে।

কাঁঠাল

কাঁঠাল (ইংরেজী: Jackfruit) এক প্রকারের হলদে রঙের সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফল। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসবে সরকারীভাবে নির্ধারিত। বাংলাদেশের সর্বত্র কাঁঠাল গাছ পরিদৃষ্ট হয়। কাঁচা কাঁঠালকে বলা হয় এঁচোড়। কাঁঠাল গাছের কাঠ আসবাবপত্র তৈরীর জন্য সমাদৃত। কাঁঠাল পাতা বিভিন্ন প্রাণীর পছন্দের খাদ্য। তুলনামূলকভাবে বিশালাকার এই ফলের বহির্ভাগ পুরু এবং কান্টকাকীর্ণ, অন্যদিকে অন্তরভাগে একটি কাণ্ড ঘিরে থাকে অসংখ্য রসালো কোয়া। কাঁঠালের বৃহদকার বীজ কোয়ার অভ্যন্তরভাগে অবস্থিত।
ভারতীয় উপমহাদেশ বিশেষত বাংলাদেশ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে কাঁঠালের উৎপত্তি স্থান হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশ, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণ ভারত, বিহার, মায়ানমার, মালয়, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি এলাকা ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও এরূপ ব্যাপকসংখ্যায় কাঁঠালের চাষ করতে দেখা যায় না। তবে ব্রাজিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জামাইকা প্রভৃতি দেশে সীমিত আকারে কাঁঠাল জন্মায়। সাধারণত লালচে মাটি ও উঁচু এলাকায় এটি বেশী দেখা যায়। বাংলাদেশের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, এবং পাবর্ত্য এলাকায় কাাঁঠালের চাষ বেশী হয়।
কাঁঠাল গাছ মাঝারি আকারের এবং প্রায় ৮-১০ মিটার লম্বা হয়। প্রধানমূলী ও পার্শ্ববিস্তৃত্ব শিকড় সাধারণত মাটির ২ মিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। সাদা দুধের মত তরুক্ষীর এ গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পাতা গাঢ় সবুজ, উপবৃত্তাকার, সরল ও একান্তভাবে সাজানো। রোপণের ৭-৮ বছর পরেই ফল ধরা শুরু হয়। সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে ফুল আসে। সহবাসী উদ্ভিদ বিধায় একই গাছে পুরুষ ও স্ত্রী ফুল পৃথকভাবে ধরে। গদাকৃতি মঞ্জরী দন্ডে প্রচুর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুল একত্রে থাকে। স্পাইক ধরনের এ পুষ্পমঞ্জরী ডিঙি নৌকার মত দুটি চুমুরী বা খোলস দ্বারা আবৃত। কাণ্ডের গোড়ার দিকে সাধারণত স্ত্রী ফুল এবং গোড়া ও শীর্ষে পুরুষ ফুল ধরে। ছোট অবস্থায় পুষ্পমঞ্জরী দেখেই লিঙ্গ নিরূপণ করা যায়। পুরুষ মঞ্জরীর চেয়ে স্ত্রী মঞ্জরী লম্বা-চওড়ায় বেশি হয়, পুরুষ ফুলের মঞ্জরীর উপরিভাগ বেশ নরম ও মসৃণ মনে হয় অপরদিকে স্ত্রী মঞ্জরীর উপরিভাগ দানা-দানা বা অমসৃণ মনে হয়। পুরুষ মঞ্জরীদন্ড সরু ও দীঘল। কিন্তু স্ত্রী মঞ্জরীদন্ড অপেক্ষাকৃত মোটা ও খাটো। স্ত্রী মঞ্জরীর বোঁটার কাছে মোটা রিঙের মত থাকে, পুরুষর থাকে সেটা সরু। প্রকৃতপক্ষে একটি পুরুষ ফুল হল একটি সবুজ চর্মবৎ নলাকার পুষ্পপুট দ্বারা আবদ্ধ একটি মাত্র পুংকেশর। পরাগরেণূ ছাড়ানোর সময় পুংকেশরগুলো পুষ্পপুট থেকে বেরিয়ে মঞ্জরীর উপরিভাগে চলে আসে এবং কয়েকদিনের মধ্যেই মঞ্জরীর উপরিভাগ হলুদ পরাগরেণুতে ছেয়ে যায়। পরাগরেণূ বিদারণ বা ফুল ফোটার ৩-৪ দিনের মধ্যেই পরপরাগায়ন ও গর্ভধান সম্পন্ন হয়। ফল যৌগিক শ্রেণীর সরোসিস ধরনের। একটি কাঁঠালের মধ্যে অসংখ্য কোষ বা কোয়া থাকে। এগুলোই প্রকৃতপক্ষে ফল। কোষের চার পাশে পাতলা ফিতার মত চিটা বা চাকি থাকে। এই চিটা ও খোসাকে একত্রে ভুতরো বা ছিবড়া বলে। খোসার উপরে ছোট বড় কাঁটা থাকে এবং কাঁটার সংখ্যা যত ফুলের সংখ্যাও তত হয়। ফলের অমরাবিন্যাস প্রান্তীয় ধরনের। ডালের গা বেয়ে ফল ধরে। ফল পাকে মে-আগস্ট মৌসুমে।
কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ নিতান্ত কম। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশংকা কম।
কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। যারা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্যে কাঁঠালে উচ্চ রক্ত চাপের উপশম হয়।
কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
কাঁঠালের অন্যতম উপযোগিতা হল ভিটামিন সি। প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহে ভিটামিন “সি” তৈরি হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে ভিটামিন “সি”।
কাঁঠালে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।
কাঁঠালে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির‌্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও আমাদেরকে সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকরী।
বদহজম রোধ করে কাঁঠাল।
কাঁঠাল গাছের শেকড় হাঁপানী উপশম করে। শেকড় সেদ্ধ করলে যে উৎকৃষ্ট পুষ্টি উপাদান নিষ্কাশিত হয় তা হাঁপানীর প্রকোম নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
চর্মরোগের সমস্যা সমাধানেও কাঁঠালের শেকড় কার্যকরী। জ্বর এবং ডায়রিয়া নিরাময় করে কাঁঠালের শেকড়।
কাঁঠালে আছে বিপুল পরিমাণে খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কাঁঠালে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মত হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালী করণে ভূমিকা পালন করে।
কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি৬ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
কাঁঠালে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম কেবল হাড়ের জন্য উপকারী নয় রক্ত সংকোচন প্রক্রিয়া সমাধানেও ভূমিকা রাখে।
ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়। অন্যদিকে তার প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।
চিকিৎৎসা শাস্ত্র মতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়।
গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থসন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।
দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
এই ফল আঁশালো বিধায় কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করে।
কাঁঠালে রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন যা দেহের রক্তাল্পতা দূর করে।
কাঁঠাল পুষ্টি সমৃদ্ধ। এতে আছে থায়ামিন,রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিনসহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানব দেহের জন্য বিশেষ উপকারী।
কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। বসন্তকাল থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত কাঁচা কাঁঠাল কান্দা বা ইচোড়’ সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। পাকা ফল বেশ পুষ্টিকর, কিন্তু এর গন্ধ অনেকের কাছে ততটা আকর্ষণীয় নয়। তবু মৃদু অম্লযুক্ত সুমিষ্ট স্বাদ ও স্বল্পমূল্যের জন্য অনেকে পছন্দ করেন। কাঁঠালের আঁটি তরকারির সাথে রান্না করে খাওয়া হয় অথবা পুড়িয়ে বাদামের মত খাওয়া যায়। এর একটি সুবিধে হল, আঁটি অনেকদিন ঘরে রেখে দেয়া যায়। পাকা ফলের কোষ সাধারণত খাওয়া হয়, এই কোষ নিঙড়ে রস বের করে তা শুকিয়ে আমসত্বের মত ‘কাঁঠালসত্ব’ও তৈরি করা যায়। এমনটি থাইল্যান্ডে এখন কাঁঠালের চিপস্ তৈরি করা হচ্ছে। কোষ খাওয়া পর যে খোসা ও ভুতরো ( অমরা ) থাকে তা গবাদি পশুর একটি উত্তম খাদ্য। ভুতরো বা ছোবড়ায় যথেষ্ট পরিমাণে পেকটিন থাকায় তা থেকে জেলি তৈরি করা যায়। এমন কি শাঁস বা পাল্প থেকে কাচা মধু আহরণ করার কথাও জানা গেছে। কাঁঠাল গাছের পাতা গবাদি পশুর একটি মজাদার খাদ্য। গাছ থেকে তৈরি হয় মুল্যবান আসবাবপত্র। কাঁঠাল ফল ও গাছের আঁঠালো কষ কাঠ বা বিভিন্ন পাত্রের ছিদ্র বন্ধ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।

Monday, 28 November 2016

চিচিংগা

 চিচিংগা
চিচিংগা একটি গ্রীষ্মকালীন উপাদেয় সবজি।  চিচিংগাইয় প্রচুর পরিমান ক্যারোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। চিচিংগা কৈডা নামেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশের প্রায় সকল অঞ্চলেই চাষ করা হয়
এটা হালকা সবুজ ও গাঢ় সবুজ (সাদা ডোরা কাটা) উভয় ধরনের হয়ে থাকে।
প্রায় সব ধরনের মাটিতেই ঝিংগা জন্মে। তবে বেলে দো-আঁশ ও দো-আঁশ মাটিতে এর চাষ ভাল হয়।
প্রতি শতকে ১০ গ্রাম, একরপ্রতি ১ কেজি, হেক্টরপ্রতি ২.৫ কেজি হারে বীজ বপন করতে হয়।
দু’ মিটার দূরে দূরে ৭৫ সেঃ মিঃ বা ২.৫০ ফুট চওড়া ও ৬০ সেঃ মিঃ বা ২ ফুট গভীর গর্ত তৈরি করতে হবে।
গাছে বাউনি দিতে হয় ও মাচা তৈরি করতে হয়। বর্ষার পানি নিকাশের ব্যবস্থা করতে হয়।
শুকনা মৌসুমে মাঝে মাঝে পানি দিতে হবে এবং গাছের গোড়ায় পানি জমে গেলে তা নিকাশের ব্যবস্থা করতে হবে।
দু’মাস পর থেকে ফল পাওয়া যায়। চিচিংগা কচি অবস্থায় তুলতে হয়।

বাগানবিলাস

বাগানবিলাস পুষ্প, গুল্মজাতীয় বৃক্ষের গণবিশেষ। বিভিন্ন রঙের অধিকারী এ ফুল গাছটি দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। মূলতঃ উষ্ণমণ্ডলীয় দেশসমূহসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে গৃহসজ্জ্বা কিংবা বাড়ীর চারপাশের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে লতাজাতীয় গুল্ম হিসেবে বাগানবিলাস জন্মানো হয়। ফরাসী আবিস্কারক লুই অটোইন ডি বোগেইনভিলিয়া'র নাম অনুসারে এ গাছের নামকরণ রাখা হয়েছে বোগেইনভিলিয়া বা বাগানবিলাস।
এ গাছটির প্রায় ১৮ প্রজাতি রয়েছে। এর অনেকগুলোই বিশ্বের সর্বত্র গরম আবহাওয়ায় ছায়াচ্ছন্ন পথ তৈরী ও বারান্দার শোভা বর্ধনে চাষাবাদ করা হয়। আবার শীতকালীন পরিবেশে গ্রীণহাউজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও এ গাছ উৎপাদন করা যায়।
বাগানবিলাস গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের লতাজাতীয় বৃক্ষ হিসেবে পরিচিত। এর বিস্তীর্ণ প্রসারণ, বৈচিত্র্যপূর্ণ রঙিন পাতা ফুলের চারপাশে বিদ্যমান থাকে। তিনটি পত্র-মঞ্জরীর মাঝখানে ফুটন্ত ফুলগুলো ছোট এবং সমান্তরাল প্রকৃতির হয়। বো্গেইনভিলিয়া গ্ল্যাব্রা প্রজাতির বাগানবিলাসে উজ্জ্বল রঙের কাগজের ন্যায় পাতা রয়েছে যা অস্পষ্ট ফুলের চতুর্দিকে ঘিরে থাকে। এ প্রজাতির গাছগুলো ২০ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতাবিশিষ্ট হয়। উষ্ণ আবহাওয়ায় বছরের অধিকাংশ সময় ফুলে সুশোভিত থাকে। এ প্রজাতির ফুলগুলো কাগজের ফুল নামে পরিচিত। পাতাগুলো বেগুনে, নীলচে, হলুদ অথবা গাঢ় লাল রঙের হয়ে থাকে। এক ইঞ্চি বা ততোধিক লম্বাকৃতির পাতা হয়। এক ধরনের বাগানবিলাস গাছ রয়েছে যারা সহায়ক গাছ কিংবা খুঁটিতে চড়ে কখনো কখনো একশত ফুট লম্বাও হতে পারে।
কীট-পতঙ্গমুক্ত গাছ হিসেবে বাগানবিলাসের পরিচিতি রয়েছে। কখনো কখনো ক্ষতিকর পোকামাকড়, শামুক এবং গাছের উকুন হিসেবে পরিচিত এফিড কীট দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। কিছু লেপিডোপটেরা গণের হাইপারকোম্প স্ক্রিবোনিয়া প্রজাতির লার্ভা খাদ্য যোগানদানকারী বৃক্ষ হিসেবে বাগানবিলাসকে ব্যবহার করে।
অন্যান্য টক্সিকোডেনড্রোন প্রজাতির গাছের ন্যায় বাগানবিলাস গাছের বিষাক্ত রসের সংস্পর্শে চামড়ায় ফুসকুড়ির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
বিভিন্ন উদ্ভিদবিজ্ঞানী চার থেকে আঠারো প্রজাতির বাগাববিলাস গোত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। এ সকল প্রজাতিগুলোর সকলেই চার ঘন্টা পরিবার হিসেবে খ্যাত নাইক্টেগিনাসিয়া গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। লতা, গুল্ম অথবা ছোট আকারের গাছ হিসেবে এটি পরিচিত। অনেকগুলো প্রজাতিই কন্টকময়। একমাত্র কাঠজাতীয় লতা প্রকৃতির বাগানবিলাস সকলের মনোযোগ আকর্ষণসহ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

উষ্ণ জলবায়ুপূর্ণ এলাকার অধিকারী অধিকাংশ এলাকায় বাগানবিলাস সাজসজ্জ্বায়ভূষিত গাছ হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত। ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরুবা, ফিলিপাইন, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইউনান, চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, গ্রীস, স্পেন, তুরস্ক, সাইপ্রাস, সিঙ্গাপুর, ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চল, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ, মধ্য আমেরিকা, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল, হাওয়াই প্রমূখ দেশে এ গাছের উৎপাদন সবিশেষ লক্ষণীয়।
সুইজারল্যান্ডের লোকার্নো এলাকায় ভূ-মধ্যসাগরীয় শান্ত জলবায়ুর কারণে বাগানবিলাস অত্যন্ত জনপ্রিয়।

জাম্বুরা

জাম্বুরা
জাম্বুরা এক প্রকার লেবু জাতীয় টক-মিষ্টি ফল।  বিভিন্ন ভাষায় এটি পমেলো, জাবং, শ্যাডক ইত্যাদি নামে পরিচিত। কাচা ফলের বাইরের দিকটা সবুজ এবং পাকলে হালকা সবুজ বা হলুদ রঙের হয়। এর ভেতরের কোয়াগুলো সাদা বা গোলাপী রঙের। এর খোসা বেশ পুরু এবং খোসার ভিতর দিকটা ফোম এর মত নরম । লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়; যা ১৫-২৫ সেমি ব্যাসবিশিষ্ট হয়ে থাকে।এর ওজন ১-২ কেজি হয়। এর আদিভূমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।
প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য জাম্বুরায় রয়েছে খাদ্যশক্তি ৩৮ কিলোক্যালরি। প্রোটিন ০.৫ গ্রাম। স্নেহ ০.৩ গ্রাম। শর্করা ৮.৫ গ্রাম। খাদ্যআঁশ ১ গ্রাম। থায়ামিন ০.০৩৪ মিলি গ্রাম। খনিজ লবণ ০.২০ গ্রাম। রিবোফ্লেভিন ০.০২৭ মিলি গ্রাম। নিয়াসিন ০.২২ মিলি গ্রাম। ভিটামিন বি২ ০.০৪ মিলি গ্রাম। ভিটামিন বি৬ ০.০৩৬ মিলি গ্রাম। ভিটামিন সি ১০৫ মিলি গ্রাম। ক্যারোটিন ১২০ মাইক্রো গ্রাম। আয়রন ০.২ মিলি গ্রাম। ক্যালসিয়াম ৩৭ মিলি গ্রাম। ম্যাগনেসিয়াম ৬ মিলিগ্রাম। ম্যাংগানিজ ০.০১৭ মিলিগ্রাম। ফসফরাস ১৭ মিলিগ্রাম। পটাশিয়াম ২১৬ মিলিগ্রাম। সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম। জাম্বুরা একটি ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল। এর পুষ্টিমান অনেক উন্নত।
জাম্বুরা ঠান্ডা, সর্দি-জ্বর জনিত সমস্যার জন্য খেলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায় । এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। জাম্বুরাতে বিদ্যমান বায়োফ্লভনয়েড বেশি থাকায় ব্রেস্ট ক্যান্সারের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন ‘সি’ বেশি থাকায় রক্তনালির সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডায়াবেটিস, জ্বর, নিদ্রাহীনতা, মুখের ভেতরে ঘা, পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত জাম্বুরা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও পেটের নানা রকম হজমজনিত সমস্যার প্রতিকার হয়।

নিম

নিম একটি ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহুবর্ষজীবী ও চিরহরিৎ বৃক্ষ। আকৃতিতে ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর কান্ডের ব্যাস ২০-৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। ডালের চারদিকে ১০-১২ ইঞ্চি যৌগিক পত্র জন্মে। পাতা কাস্তের মত বাকানো থাকে এবং পাতার কিনারায় ১০-১৭ টি করে খাঁজযুক্ত অংশ থাকে। পাতা ২.৫-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়। নিম গাছে এক ধরনের ফল হয়। আঙুরের মতো দেখতে এই ফলের একটিই বীজ থাকে। জুন-জুলাইতে ফল পাকে এবং ফল তেতো স্বাদের হয়। ভারত এবং বাংলাদেশের প্রায় সবত্রই নিম গাছ জন্মে। প্রাপ্ত বয়স্ক হতে সময় লাগে ১০ বছর। নিম গাছ সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়া প্রধান অঞ্চলে ভাল হয়। মাটির পিওএই ৬.২-৮.৫ এবং বৃষ্টিপাত ১৮-৪৬ ইঞ্চি ও ১২০ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রা নিম গাছের জন্য উপযোগী। নিমের পাতা থেকে বর্তমানে প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকরী। নিমের কাঠ খুবই শক্ত। এই কাঠে কখনো ঘুণ ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উইপোকা খেতে পারে না। এই কারণে নিম কাঠের আসবাবপত্রও বর্তমানে তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রাচীনকাল থেকেই বাদ্যযন্ত্র বানানোর জন্য কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে।
পাতা, ফল, ছাল বা বাকল, নিমের তেল, বীজ। অর্থাৎ এক কথায় নিমের সমস্ত অংশ ব্যবহার করা যায়।
বিশ্বব্যাপী নিম গাছ, গাছের পাতা, শিকড়, নিম ফল ও বাকল ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে পরিচিত। বর্তমান বিশ্বে নিমের কদর তা কিন্তু এর অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহারের জন্য। নিম ছত্রাকনাশক হিসেবে, ব্যাকটেরিয়া রোধক হিসেবে, ভাইরাসরোধক হিসেবে, কীট-পতঙ্গ বিনাশে, চ্যাগাস রোধ নিয়ন্ত্রণে, ম্যালেরিয়া নিরাময়ে, দন্ত চিকিৎসায় ব্যথামুক্তি ও জ্বর কমাতে, জন্ম নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়।
কফজনিত বুকের ব্যথা: অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রস সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩/৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এই ঔষধটি নিষেধ।
কৃমি: পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেট বড় হয়। চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এই জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুঁড়ো দিনে ৩ বার সামান্য গরম পানিসহ খেতে হবে।
উকুন নাশ: নিমের পাতা বেটে হালকা করে মাথায় লাগিয়ে ঘন্টা খানেক পরে মাথা ধুয়ে ফেললে ২/৩ দিনের মধ্যে উকুন মরে যায়।
অজীর্ণ: অনেকদিন ধরে পেটের অসুখ, পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস অর্ধেক কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকাল খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
খোস পাচড়া: নিম পাতা সিদ্ধ করে পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়।
পোকা-মাকড়ের কামড়: পোকা মাকড় কামড়ালে বা হুল ফোটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হয়।
দাঁতের রোগ: নিমের পাতা ও ছালের গুঁড়ো কিংম্বা নিমের ছাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত হবে মজবুত হয়।
জন্ম নিয়ন্ত্রণে নিম: নিম তেল একটি শক্তিশালী শুক্রাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে, নিম তেল মহিলাদের জন্য নতুন ধরনের কার্যকরী গর্ভনিরোধক হতে পারে। এটি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই শুক্রানু মেরে ফেলতে সক্ষম।
ব্লাড সুগারের রোজ সকালে খালি পেটে ১৫ থেকে ২০ টি নিম পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার হয়। চিবিয়ে খেতে অসুবিধা হলে একই নিয়মে ৫ থেকে ৬ চামচ নিমপাতার রস খেলে একই উপকার হয়।
   

Thursday, 24 November 2016

সুপারি গাছ

 সুপারি বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। সুপারির জন্ম সম্ভবত ফিলিপাইন বা মালয়েশিয়ায়। ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমায়, পাকিস্তান, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন, চীন, প্রভৃতি দেশে সুপারি চাষ করা হয়। বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় বিশেষ করে বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী ,বরগুনা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চট্রগ্রাম, কক্রবাজার ইত্যাদি জেলায় প্রচুর সুপারি জন্মে। উত্তরবঙ্গের রংপুরেও সুপারির চাষ হয়। বাগান আকারে, বাড়ির আশেপাশে বা পুকুর ধারে সাধারণত সুপারি গাছ লাগানো হয়। সুপারি একবীজপত্রী সরল কান্ডের অশাখ বড় বৃক্ষ। গাছ প্রায় ২০-২৫ মিটার লম্বা হয় ; গোলাকার কাণ্ডের ব্যাস ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি। সুপারির পাতা লম্বা ; মধ্যশিরাটি বেশ শক্ত ; মধ্যশিরার দু’পাশ থেকে চিরুনির দাঁতের মত সবুজ পত্রফলক সাজানো থাকে ; তবে তা নারিকেল ও খেজুরের চেয়ে প্রশস্ত ও কোমল। পাতায় কোন কাঁটা নেই। দীর্ঘ পত্রখোল বা খোলা কান্ডের সাথে লেগে থাকে। ফল ডিম্বাকার থেকে গোলাকার, ছোট। কাচা ফলের রঙ সবুজ, পাকলে হলুদ বা কমলা হয়ে যায়। কাঁদিতে থোকা ধরে অনেক ফল থাকে। কাচা ও পাকা ফল খাওয়া হয়। খোসা ছাড়িয়ে ভিতরে সুগোল যে বিচি থাকে সেটাই খাওয়া হয়। এই বিচি শুকিয়েও খাওয়া হয়। কুচিকুচি করে যাঁতি দিয়ে কেটে পানের সাথে সুপারি খাওয়া হয়। কাচা সুপারি খেলে অনেক সময় মাথা ঘোরে।কাচা সুপারিতে ০.১-০.৫/ অ্যালকালয়েড থাকে , যার কারণে মাথা ঘোরে। প্রতি ১০০ গ্রাম সুপারিতে আছে ২৮৯ ক্যালরি শক্তি যোগানোর ক্ষমতা। সুপারির অনেক ভেষজ গুণও আছে। সুপারি ভেজে মিহি গুড়োঁ করে দাঁত মাজলে দাঁতের ব্যথা ও পায়োরিয়া সেরে যায়। ক্রিমি, রক্ত আমাশা, অজীর্ণ ইত্যাদি রোগ নিরাময়েও সুপারি উপকারী। এর রসে এরিকোলিন ইত্যাদি উপক্ষার ভারত উপমহাদেশে মুখের ক্যান্সারের একটি অন্যতম কারণ। বর্ষাকালে বীজ পুঁতে সুপারির চারা তৈরি করা হয়। লোনা নয় এরকম মাটিতে এক বছর বয়সী চারা ৩ মিটার দূরে দূরে গর্ত করে লাগালেই সুপারি বাগান দাঁড়িয়ে যায়। অন্য গাছপালার মধ্যে বা ছায়া জায়গায় লাগালে সুপারি গাছ ভাল হয়। প্রখর রোদ সুপারি গাছ সইতে পারে না। চারা লাগানোর পর ৬-৭ বছরের মধ্যেই ফল ধরা শুরু করে। তবে বেশি ফল ধরে ১০-১২ বছরের পর থেকে। স্থানভেদে বছরের নভেম্বর-মার্চ পর্যন্ত সুপারি সংগ্রহ চলে। এর রসে এরিকোলিন ইত্যাদি উপক্ষার এই উপমহাদেশে মুখের ক্যান্সারের একটি অন্যতম কারণ বলে পরিগণিত।

Sunday, 20 November 2016

লাউ শাঁক

লাউ  শাঁক  ভিটামিন ‘এ’-তে ভরপুর

ছাগল

ছাগল এক প্রকারের গৃহপালিত যুগ্ম-খুর-যুক্ত চতুষ্পদ তৃণভোজী স্তন্যপায়ী প্রাণী। এদের গায়ের স্বন নানা রঙের হয়ে থাকে।। কিছু ছাগল বছরে দু’বার বাচ্ছা দেয়। একবারে ২/৩ টি বাচ্ছা একবারে প্রসব করে। ছাগল পালন একটি লাভজনক পেশা। ছাগলের দুধ পুস্টিকর খাবার। ছাগলের নানা জাত রয়েছে, যার মধ্যে ব্ল্যাক বেঙ্গল খুব সাধারণ। এরা সাধারনত ২/৩ ফুট লম্বা হয়ে থাকে।

Saturday, 19 November 2016

সীগাল

সীগাল রিসোর্ট & পিকনিক স্পট
Sea Gull Resort & Picnic Spot
Sngerdighi
Sreepur,Gazipur
 

Friday, 18 November 2016

পেয়ারা গাছ

আমেরিকার নিরক্ষীয় অঞ্চল পেয়ারার আদি জন্মস্থান। পেরু থেকে মেক্সিকো পর্যন্ত এলাকায় দ্রুত এর বিস্তার ঘটে। ভারত, মেক্সিকো, ব্রাজিল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, বার্মা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, হাওয়াই, ফিলিপাইন, ফ্লোরিডা প্রভৃতি দেশে ব্যাপকভাবে পেয়ারার চাষ হয়। পেয়ারা গাছের জন্য সর্বোত্তম তাপমাত্রা হচ্ছে ২৩-২৮° সে.। তবে পরিণত গাছ ৪৫° সে. তাপমাত্রায়ও বেঁচে থাকতে পারে।
পেয়ারা গাছ ছোট থেকে মাঝারি (২.৩-১০ মি) আকারের হয়ে থাকে। শিকড় মাটির বেশি গভীরে প্রবেশ করে না।

Thursday, 17 November 2016

লাল শাক

লাল শাক এক প্রকারের সবজি, যার পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এই শাক আগে শুধুমাত্র শীতকালে পাওয়া গেলেও বর্তমানে এটি সারাবছরই পাওয়া যায়। এর রং লাল এবং রান্নার পর এটি থেকে লাল রং বের হতে দেখা যায়। এই সবজি ৬"-১২" হয়। গাছের কান্ড থেকে ভেঙে নিয়ে আসার পর ভাঙা কান্ড হতে পুনরায় নতুন গাছ গজায়।
লাল শাক ভিটামিন ‘এ’-তে ভরপুর। লাল শাক নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং অন্ধত্ব ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

– শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে গিয়ে যেসব অসুখ হয় তা প্রতিরোধ করা যায়।
– এন্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
– রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
– লাল শাকের বিটা-ক্যারোটিন হার্টস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।
– এটি মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং দন্ত ও অস্থি গঠনে অবদান রাখে। দাঁতের মাড়ি ফোলা প্রতিরোধ করে।
– শিশুদের অপুষ্টি দূর করে।
– ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাল শাক যথেষ্ট উপকারি। এ ছাড়াও এটি শরীরের ওজন হ্রাস করে।
– আঁশ জাতীয় অংশ খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
– ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবজনিত স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।

পুঁই শাক

রঙ ভেদে দু’ধরনের পুইশাক দেখা যায়। লাল ও সবুজ।
পুঁই গাছের ডগা মাঝে মাঝে কেটে দিতে হয়। এতে শাকও খাওয়া হয় আবার গাছে নতুন ডগাও বেরোয়। একবার চারা লাগিয়ে ৮ থেকে ১০ বার পুঁইশাক সংগ্রহ করা যায়।
পুঁইশাক বেশ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। দেশজুড়ে পুঁইশাকের রয়েছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। সহজলভ্য বলে এই শাক কম-বেশি সবার কাছেই প্রিয়। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
বর্জ্য পদার্থের মাধ্যমে শরীরের রোগজীবাণু দেহের বাইরে যায়। কোনো কারণে সঠিকভাবে নিষ্কাশন হতে না পারলে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা তৈরি হয়। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পুঁইশাক অন্যতম।
পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, দেহের বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে বাইরে যেতে সাহায্য করে। এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন `এ` এবং `সি`, যা ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, বৃদ্ধি ও বর্ধনে সাহায্য করে, চোখের পুষ্টি জোগানো ও চুলকে মজবুত রাখে।

মূলা

এটি হালকা গন্ধবিশিষ্ট, বড়, সাদা রঙের 'মূল' জাতীয় সবজি। এর আদিভূমি কন্টিনেন্টাল এশিয়া।
কাচা মুলা খেলে কফ ও পিত্ত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বাত, কাশি হিক্কা রোগের জন্য মুলা উপকারী।

Monday, 14 November 2016

চাঁদ

চাঁদ পৃথিবীর এত কাছে শেষ এসেছে ১৯৪৮ সালে ,
৬৮ বছর পর  ১৪, ১১, ২০১৬  আবার আমাদের এত কাছে এসেছে,
আবার আসবে ২০৩৪ সালে

ছবিঃ ঢাকা,বাংলাদেশ

বকুল ফল

বকুল ফল
 বকুল গাছে ছোট ছোট কুলের মত ডিম্বাকৃতির ফল হয়। ফল গুলো কাঁচা অবস্থায় সবুজ,পাঁকলে লাল বর্ণ ধারণ করে।পাখিরা বকুল ফল খেয়ে থাকে। অনেক সময় বাচ্চাদের ও বকুল ফল খেতে দেখা যায়। ফলের স্বাদ কষ যুক্ত হালকা মিষ্টি। গাছে এই ফল আসে বর্ষাকালে ।
কাঁচা বকুলের ফল প্রতিদিন ২-৩ টি করে চিবিয়ে খেলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।
 মালয়'রা বকুল ফল সংরক্ষণ করে রাখে এবং আচার তৈরি করে।

মুরগির মাংস

মুরগির মাংস
মাংসের মধ্যে মুরগীর মাংস সবচাইতে সুস্বাদু এবং সবচাইতে বেশি স্বাস্থ্য সম্মত।
মুরগির মাংস খাওয়া যায় নানাভাবে_রোস্ট, গ্রিল, ফ্রাই অথবা বিভিন্ন রকম হার্ব এবং মসলা মিশিয়ে সুস্বাদু, সুবাসিত, পুষ্টিকর খাবার তৈরি করে। প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস হচ্ছে মাংস।
পুষ্টিতথ্য
নিয়াসিনের অতি উৎকৃষ্ট উৎস এটি। এ মাংসে আমিষ ও সেলেনিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণ। ভিটামিন বি-৬ ও ফসফরাসের ভালো উৎস মুরগির মাংস। এ ছাড়া আয়রন ও কোলাইন রয়েছে।
প্রতি ৪ আউন্স (১১৩ গ্রাম) মুরগির মাংসে যা আছে:
পুষ্টি উপাদানের নাম ও দৈনিক চাহিদার পূরণকৃত পরিমাণ হলো ট্রিপটোফ্যান ১২৮%, নিয়াসিন ৭৮%, আমিষ ৭০%, সেলেনিয়াম ৪৫%, ভিটামিন বি ৬৩৪%, ফসফরাস ২৬%, কোলাইন ২৩%।
 মুরগির মাংসের আমিষ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের যে ক্ষয় হয় তার হার কমিয়ে দেয়। আমিষজনিত পুষ্টিহীনতা থেকেও রক্ষা করে।
 মুরগির মাংসের বি ভিটামিন, নিয়াসিন ও সেলেনিয়াম ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
 মুরগি পছন্দ করার ক্ষেত্রে ফার্মের চেয়ে দেশি মুরগি খাওয়া ভালো। কারণ ফার্মের মুরগিকে নানা রকম অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এ ছাড়া দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য যে খাবারগুলো খাওয়ানো হয় এবং হরমোন প্রয়োগ করা হয়, তাও খুব একটা নিরাপদ নয়।

Sunday, 13 November 2016

মেয়েদের ফুটবল

শহরের মত গ্রমেও শুরু হয়েছে মেয়েদের ফুটবল খেলা।
location:Gazipur ,

Tuesday, 8 November 2016

হুমায়ুন আহমেদ এর ভাস্কর্য

ইরি ধান

খেজুর গাছ

খেজুর এক ধরনের তালজাতীয় শাখাবিহীন বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিক্স ড্যাকটিলিফেরা (Phoenix dactylifera)। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সুমিষ্ট ফল হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় অনেক বছর পূর্ব থেকেই এর চাষাবাদ হয়ে আসছে। এ গাছটি প্রধানতঃ মরু এলাকায় ভাল জন্মে। খেজুর গাছের ফলকে খেজুররূপে আখ্যায়িত করা হয়। মাঝারী আকারের গাছ হিসেবে খেজুর গাছের উচ্চতা গড়পড়তা ১৫ মিটার থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর লম্বা পাতা রয়েছে যা পাখির পালকের আকৃতিবিশিষ্ট। দৈর্ঘ্যে পাতাগুলো ৩ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত হয়। পাতায় দৃশ্যমান পত্রদণ্ড রয়েছে। এক বা একাধিক বৃক্ষ কাণ্ড রয়েছে যা একটিমাত্র শাখা থেকে এসেছে।

তবু বিতান

location:তবু বিতান,মাওনা,গাজীপুর

রাঙ্গামাটি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য

রাঙ্গামাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের ভাস্কর্য

রাঙ্গামাটির পাহাড়

ফুরমোন পাহাড় কতুকছড়ি যাওয়ার পথে রাস্তার পাশেই এ পাহাড়টি অবস্থিত। এ পাহাড় থেকে পুরো শহর দেখা যায়। এমনকি মেঘ না থাকলে চট্টগ্রাম শহরও দৃষ্টিগোচর হয়।

Monday, 7 November 2016

মেকাউ পাখি

location:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, গাজীপুর